আবেগীমন
নরম ভেজা অমূর্ত আবেগগুলোকে দুহাত
ভরে নেওয়া ,কেন মনে মনে শুধু ছুঁতে চাওয়া, একি পিরামিড না তাজমহল- এত কেবল
বালুকাবেলায় ঝিঁনুক খোঁটার ছল। কালিদাসের কালে “শুষ্কং কাষ্ঠম্” “নীরস তরুবর ” হয়ে
গেছে কখন,উথলি মন বেহিসাবি যখনি-কৌতূহলী হৃদয় উদ্বেগে উচ্চারিত,-আমাকে হারাতে গিয়ে
তোমারো কী পরাজয় হয়নি। নীরব হৃদয় আপন আঁধারেই সন্ধানী-মন,হোক না সে বহুকাল বহুদিন
বহুক্ষণ। আল্পসের চূড়ো উজ্জ্বল বর্ণচ্ছটায় ঝিকমিক ,আমিও তো সেখানে তখন উদাস—নীচে
গভীর খাদ অপস্রিয়মান,দেখি নাই ফিরে যখন।
মনোমুগ্ধকর পরিমণ্ডলে একা থাকার তত্ত্বায়নবোধে কত কত মুখ এসে দু-হাত বাড়ায়,
দূর-দূরান্তের পরিচিত মুখগুলি যায় সরে কোথায়, এ কী হয়! অবোধ দুটি শব্দ যদি আসে
বর্ণনায় ,অনায়াসে না-বোধের সম্মার্জনী নিও সমালোচনায়। শিউলিভেজা ঘাসে শরতের বাতাস
হঠাৎ আটকে যায় এখানে। ওপর আকাশে ও সাদা মেঘের ভেলা ছুটে চলেছে নিরুদ্দেশের পথে
কোথায়, নির্জন দুপুরে মন থেমে যায় শরৎ-বসন্তের হিসাব কোনায়। অবাক পৃথিবীর
পরিমণ্ডলের আয়তন যেন যার যার হাতের মুঠোয়,
ওহঃ ! তুমি কত সুন্দর –মনোমোহিনী ,দৃষ্টিনন্দিনী প্রকৃতি সবাকার সেখানে।
[১১-১০-২০১৩। ব্যাঙ্গালুরু।]