Friday 17 April 2015


কাদম্বরীদেবীর মায়ের নাম ত্রৈলোক্যসুন্দরী।বাবার নাম শ্যাম গাঙ্গুলী,রবীন্দ্রনাথঠাকুরদের বাজার সরকার। ঠাকুরদার নাম জগন্মোহন গাঙ্গুলী। এনার সাথে বিয়ে হয় দ্বারকানাথের মামাতো বোন শিরোমণির।মামার নাম ছিল কেনারাম রায়চৌধুরী।শিরোমণি তার কাকিমা রামপ্রিয়ার কাছ থেকে কাদম্বরীদেবীদের বাড়িটা সাহায্য পেয়েছিল হাড়কাটাগলিতে।রামপ্রিয়া ছিলেন দ্বারকানাথের ঠাকুরদা নীলমণিঠাকুরেররভাই গোবিন্দরামের স্ত্রী।।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা জ্যোতিরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে কাদম্বরীদেবীর বিয়ে হয়। কাদম্বরীদেবীর জন্ম ১৮৫৯ সালের ৫ই জুলাই। মাত্র ৯বছর বয়সে ঐ একই তারিখে তাঁর বিয়ে হয়।মায়ের আপত্তি ছিল জন্মদিনে বিয়ে দেওয়া।

Thursday 16 April 2015


 বর্ষ শেষে কিছু পুরোণো কথা ----

ব্যাঙ্গালোরের খাওয়ার টেবিলের পশ্চিমের চেয়ারে বসে নাতির ঘরের কাঁচের দরজা দিয়ে পুব দিকে একফালি ঝকঝকে আকাশ দেখা যাচ্ছিলসেই রেশ নিয়ে এক মুহূর্তে চলে গেলাম আমাদের গ্রামের বাড়ির সামনের ধান ক্ষেতের মাঠে ঐ মাঠে মরসুমি ফসল ফলত কিন্তু খুব বড় মাঠ ছিল নাবিশেষ করে শীতকালে ঐ মাঠ তার বাসিন্দাদের বাড়ির উঠোন হয়ে যেত আমাদের বাড়ির দক্ষিণে এই মাঠ ,মাঠের আরও দক্ষিণে ছিল বিলের মাঠ, পুবে ছিল মমিনচাচা-রহিমচাচাদের মুসলমান পাড়াউত্তর-পুব কোনে ছিল বসির-পুকুর শীতকালে সকাল থেকে এই মাঠে কাজ শুরু হতো-কাঠকুটো ,শুকনোপাতা জড়ো করে ঘিরে বসে আগুন পোহনো,গিন্নিবান্নি মহিলাদের ডাল ফেটিয়ে বড়ি দেওয়া,বাচ্চাদের মাঠের রোদে বসে সকালের খাবার খাওয়া ছিল যেন এক উন্মুক্ত অবাধ পরম মহোৎসব লেপ-কাঁথা ইত্যাদি জিনিষের পাহারাদার হতাম আমরা ছোটোরাদুপুরের চান হতো ঐখানেই,মায়েরা লোহার বালতিতে জল রাখত রোদে,হিমানী গ্লিসারিন সাবান মাখিয়ে চান করিয়ে দিত আমাদের এই সব মনে করে কি যে উত্তেজনা বোধ হচ্ছে তা বলে বোঝানো যাবে না মাঠটা ছিল পাড়ার নারদকাকু বিশেকাকুদেরবিশেকাকুর ছোড়দি নদীপিসিমা তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এল ভায়েদের কাছে তখন ধান-ক্ষেতের কোনে একটুকরো জায়গায় কাঁচা-পাকা একটা শোয়ার একটা রান্না ঘর তৈরী করে দিল কাকুরা পাকাপাকি ভাবে বসবাস করার জন্যে

            আজ আকাশ বেশ পরিষ্কার।রূপ—সাগরে ডুব দিয়ে ,সময় যেন হয়রে এবার ঢেউ খাওয়া সব

চুকিয়ে দেবার---প্রকৃতির খেয়ালি-দোলায় দোল দিয়ে দেয় সব্বারে-সবখানে।
সুন্দর মনকে আনন্দ দেয়।সব্বাইকে সমৃদ্ধ করে। উন্নীত করে এক মহিমময় উচ্চস্থানে।                

Sunday 15 March 2015

আজ ১৬ই মার্চ বাবু নতুন অফিসে জয়েন করল। ঈশ্বর ওকে আশির্বাদ করুন যেন মান-সম্মানের সঙ্গে মন দিয়ে কাজ করে সকলের মন  জয় করতে পারে। আমার ঠাকুরের কাছে একটাই সকরুণ প্রার্থনা আমাদের ছেলে-মা(বৌ),মেয়ে-বাবা(জামাই) ওরা যেন সম্মানীয়দের সম্মান দেয়,সবাইকে যেন অন্তর থেকে ভালোবাসে-লোক দেখিয়ে নয়। সংসারে ধৈর্য সহ্য নিয়ে মানিয়ে গুছিয়ে আনন্দে যেন দিন অতিবাহিত করে।

Friday 13 March 2015

সুন্দর মনকে আনন্দ দেয়।সব্বাইকে সমৃদ্ধ করে। উন্নীত করে এক মহিমময় উচ্চস্থানে।                

Thursday 12 March 2015

আজ আকাশ বেশ পরিষ্কার।রূপ—সাগরে ডুব দিয়ে ,সময় যেন হয়রে এবার ঢেউ খাওয়া সব চুকিয়ে দেবার---প্রকৃতির খেয়ালি-দোলায় দোল দিয়ে দেয় সব্বারে-সবখানে।

তোমার অমৃত ঢালি দিবে অবিরত নানাবর্ণগন্ধময়। প্রদীপের মতো সমস্ত সংসার মোর লক্ষ বর্তিকায়

জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমারি শিখায়-----

এ আশ্চর্য সংসারের মহানিকেতনে সে ক্ষণ অজ্ঞাত তোমার। কোন শক্তি ফুটাইল তোমারে এ বিপুল রহস্যের ক্রোড়ে দ্বিপ্রহরে মহারণ্যে মুকুলের মতো।